ঢাবি’র সিনেট নির্বাচন বর্জন করলো ড. আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন প্যানেল
-4.JPG)
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন বর্জন করেছে প্রফেসর ড. আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন প্যানেল। নির্বাচনের পূর্বেই প্রার্থীদের হয়রানী, ভয়ভীতি দেখানো, গ্রেফতার করার কারনে তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্যানেল লিডার ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি সাবেক প্রফেসর ড. আব্দুর রব এ ঘোষণা দেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. কুরবান আলী, নারায়নগঞ্জের সোনারগাও আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভ‚ঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী এ. কে. এম. রফিকুন্নবী, সাংবাদিক মো. নূরুল হুদা, মো. শহীদুল ইসলাম।
প্রফেসর ড. আব্দুর রব তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটরা দেশের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দেশ পরিচালনায় বরাবরই নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখে থাকেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের বিশাল অবদান রয়েছে। দু:শাসন বিরোধী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, যেহেতু ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে সেহেতু ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের লক্ষ্যে আয়োজিত ঢাবি সিনেট নির্বাচন ২০২৩ অনেক গুরুত্বের দাবিদার। সেই বিষয় সামনে রেখেই আমরা আসন্ন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন ২০২৩-এ অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। কিন্তু সারাদেশের অন্যান্য নির্বাচনের মতো এখানেও স্বাভাবিক ও স্বস্তিদায়ক পরিবেশে নির্বাচনী কাজ করার কোনো সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চ‚ড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই প্রার্থীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রার্থী ও ভোটারদের অনেকেই বাসা-বাড়িতে নিরাপদে অবস্থান করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পূর্বেই যদি এধরনের অনাকাংখিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে আমরা কী করে ভাবতে পারি যে, প্রার্থীরা নির্বিঘেœ নির্বাচনী প্রচার কাজ পরিচালনা করতে পারবে? আমরা কী করে নিশ্চিত হতে পারি যে, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে এসে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারবে বলে কোনোমতেই বিশ^াস করতে পারছি না।
এহেন নাজুক ও অনিরাপদ পরিস্থিতিতে কোনো শিক্ষিত, বিবেকবান ও সমাজ সচেতন ব্যাক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন সিনেট নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। বিদ্যমান এ পরিস্থিতিতে আমরা নিম্নোক্ত (২৫ জন) প্রার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচন ২০২৩ বর্জন করছি।
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব ছাড়াও প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, মোহাম্মদ আব্দুর রব, উম্মে কুলসুম রওজাতুর রোম্মান, মুহাম্মদ মুয়ায্যম হোসাইন, এ.বি.এম. ফজলুর করীম, মো. ইকবাল হোসাইন ভ‚ঁইয়া, মো. আতিয়ার রহমান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান, মো. নূর নবী, মো. ইউসুফ আলী, এ. কে. এম. রফিকুন্নবী, মো. আব্দুল মতিন খান, মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, কাজী মো. বরকত আলী, মো. আব্দুল বাসেত খান, মো. শফিকুল আলম হেলাল, মো. আব্দুল হান্নান, মো. আহসান হাবীব, মো. আমজাদ হোসেন খান, হাবিবা আখতার চৌধুরী, সাবিকুন্নাহার, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আব্দুল মান্নান এবং মো. নূরুল হুদা।